গত মাসে ক্লাব বিশ্বকাপে আল-হিলালের কাছে সিটির করুণ বিদায়ের সময় যেভাবে হাই লাইন রক্ষণ ধরা পড়েছিল, এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ৩৫তম মিনিটে মোহাম্মদ কুদুসের পাস থেকে রিচার্লিসন বল বাড়ান জনসনের উদ্দেশ্যে, তিনিও শক্তিশালী শটে গোল করেন। প্রথমে অফসাইড ধরা পড়লেও, ভিএআরের সাহায্যে দেখা যায় রুবেন ডিয়াস পিছিয়ে পড়ে অফসাইড কাটিয়ে দেন রিচার্লিসনকে। এরপর কিছু সময়ের জন্য পুরোপুরি ছন্দপতন ঘটে সিটির খেলায়। গোলরক্ষক ট্রাফোর্ড এক পর্যায়ে বক্সের বাইরে এসে কুদুসের শট ব্লক করেন, ভাগ্য ভালো যে গোল হয়নি। তবে এরপরই ঘটে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ঘটনা। নিজের বক্সে ট্রাফোর্ডের ভুল পাস কেটে নেয় পাপে সার, রিচার্লিসন প্রথম শট নষ্ট করলেও ফিরতি বলে জোরালো শটে বল জালে পাঠান পালিনহা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে হালান্ড একটি সুযোগ পেয়েছিলেন ব্যবধান কমানোর, কিন্তু হেড করে বল ওপরে মেরে হতাশ করেন সবাইকে। থমাস ফ্র্যাঙ্কের অধীনে প্রথম ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে ২-০ গোলের লিড হারালেও এবার আর সে ভুল করেনি টটেনহ্যাম। বরং পুরো ম্যাচে তারা নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। দ্বিতীয়ার্ধে হালান্ড আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন, রায়ান চেরকির দিকে পাস বাড়াতে গিয়ে বল বেশি এগিয়ে দেন, ফলে গোলরক্ষক ভিকারিও সহজেই বল ধরে ফেলেন। শেষ দিকে আরও বড় ব্যবধানে হারা থেকে বাঁচান ট্রাফোর্ড। স্টপেজ টাইমে দুর্দান্ত সেভ করেন ডমিনিক সোলাঙ্কে ও উইলসন ওডোবার্টের শট ঠেকিয়ে। অবশেষে কোনো লড়াই ছাড়াই হেরে মাঠ ছাড়ে সিটি। মৌসুমের শুরুতেই এমন ধাক্কা অবশ্যই ভাবিয়ে তুলবে পেপ গার্দিওলাকে।










Leave a Reply