বড়াইগ্রামে পঁচিশ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নাটোর প্রতিনিধি।
নাটোরের বড়াইগ্রামে পঁচিশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক শিক্ষক। রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার তিরাইল বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক আব্দুল হালিম। তিনি উপজেলার তিরাইল গ্রামের মোঃ শামসুল আলমের ছেলে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন আদর্শ মৎস্য চাষী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চিনি ডাঙ্গার বিলে ছয়টি পুকুরে মাছ চাষ করি, তিনটি পুকুরে লাভবান হই কিন্তু অপর তিনটি পুকুরে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে গত ০৮ অক্টোবর গভীর রাতে আকস্মিক ভাবে পুকুর পরিদর্শন করি। এ সময় আমার পুকুরের প্রহরী জালুরা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার ফিড চুরির যে আলোচনা করছিল তা আমি শুনে তাদের হাতেনাতে ধরি। পরেরদিন ০৯ অক্টোবর গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে। তারা আরও স্বীকার করে যে, আমার প্রতিদ্বন্দী মাছ চাষী আগ্রান গ্রামের মৃত মজিবর হাজ্বীর ছেলে সেলিমের পরামর্শে তার পুকুরের প্রহরী রাজ্জাকমোড় এলাকার কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন সময়ে পুকুরের মাছ এবং প্রায় এক হাজার বস্তা ফিড চুরি করেছে। এতে আমার প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদের সমস্ত স্বীকারোক্তির ভিডিও ক্লিপ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় আমি ৯ অক্টোবর বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগের পর সেলিমের বড় ভাই শাহ আলম মেম্বার আমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সহ সুষ্ঠু সমাধান করবেন বলে আগ্রাণ ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আলম হোসেনের মাধ্যমে আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং প্রহরী আল আমিন ও তার স্ত্রী কামরুন নাহারকে পুকুরে যাওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে হঠাৎ সেলিম এবং শাহ আলম আমার মাছ ব্যবসার ক্ষতি করবে একই সাথে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে পুকুর মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বিষয়টি সমাধানের আরজি জানাই। তিনি বৈঠকের জন্য রবিবার (১২অক্টোবর) দিন ধার্য করেন। কিন্তু ধার্যকৃত দিনে তারা কেউ হাজির না হয়ে কোন সমাধান করবে না মর্মে জানিয়ে দেয়। এদিকে শনিবার রাতে পুকুরের ঘর থেকে বেশ কিছু মালামাল চুরি করে ওই প্রহরী দুইজন পালিয়ে যায়। আমি মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি এবং বিভিন্ন ব্যাক্তির মাধ্যমে খুজাখুজি করেও তাদের কোন সন্ধান পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, সংরক্ষিত প্রমাণাদি যাচাই অন্তে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা এবং দোষীদের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানাই।
#
সুরুজ আলী
নাটোর।
Leave a Reply