সিংড়ায় বনকুড়ি কাঁচা রাস্তাটির কারণে দুর্ভোগের সীমা নেই
মোঃ শাকিল আহমেদ
সিংড়া নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৩ নং ইটালি ইউনিয়নের বনকুড়ি খাসপাড়ায় মানুষের জীবনে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি, এই একটি রাস্তাই তার বড় কারণ।
কাঁচা রাস্তাটি শুরু হয়েছে উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের বনকুড়ি বাজার থেকে খাস পাড়া হয়ে তুলাপাড়া বাশবাড়িয়া এলাকার একটি কাচা রাস্তার সঙ্গে যুক্ত রাস্তাটি। মাঝখানে প্রায় দের কিলোমিটার রাস্তা, গ্রামের প্রায় পাচ হাজার মানুষকে রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয় প্রতিদিন। রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় এই মানুষদের জীবনে দুর্ভোগ আর দুঃখের যেন অবসান হচ্ছে না।
শীতকালে এ রাস্তা দিয়ে কোনোরকমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় পায়ে হাঁটা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। বৃষ্টিতে হাঁটুকাদার কারণে বনকুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো দুর্ভোগে পড়ে। কয়েক শ বিঘা জমির ফসল আনা-নেওয়া, ও পুকুরের মাছ পরিবহনের ভোগান্তি যে চোখে দেখেনি, তার পক্ষে এই কষ্ট উপলব্ধি করা কঠিন হবে। রাস্তাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি বয়ে আনে জরুরি রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে। কত অন্তঃসত্ত্বা নারী, হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীরা যে কাদাপানিতে ভরা রাস্তা পেরিয়ে শহরে যেতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, তা তাঁদের স্বজনেরা আহাজারি করে এখনো বলে বেড়ান। তবে সে কথা কর্তৃপক্ষের কান পর্যন্ত যে পৌঁছাতেই পারছে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে রাস্তাটি দেখে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। রাস্তাটি বনকুড়ি অংশে দের কিলোমিটার কাঁচা। রাস্তাটির এক প্রান্তে বনকুড়ি , আরেক প্রান্তে বাশবাড়িয়া গ্রাম, আর মাঝখানের খাসপাড়া। খাসপাড়ার মানুষের জীবনে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি, এই একটি রাস্তাই তার বড় কারণ বলে জানালেন এলাকাবাসী।
সিংড়া উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য কুরবান আলী, বনকুড়ি গ্রামের আজিজ মোল্লা (৪৫), সাইফুল মোল্লা (৫০), মোমিন মোল্লা (৪৫),বাশবাড়িয়া গ্রামের সেলিম হোসেন (৩৫) মাছ চাষি ইসমাইল হোসেন জানান, এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে বর্ষায় ধান, ৩০-৩৫টি পুকুরের মাছসহ অন্যান্য ফসল আনানেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় এই রাস্তায় চাষিদের। শুকনায় ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চলার কোনো ব্যবস্থা নাই বর্ষায় কোনো যানবাহন এ রাস্তায় চলাচল করতে পারে না।
বনকুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন, সম্প্রতি বনকুড়ি গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪০) বনকুড়ি মাঠে খেলা দেখে বাড়ি যাওয়ার সময় বাশের সাকো পাড় হতে গিয়ে পড়ে গিয়ে প্রান হাড়িয়ে ফেলেন তাকে হাসপাতালে নেওয়ার মতো ব্যবস্থা না থাকায় বিনা চিকিৎসায় প্রাণ গেছে। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে কাদাপানিতে সয়লাব ছিল রাস্তাটি। রাতের বেলা বুকের ব্যথায় আক্রান্ত অঞ্জলিকে আর হাসপাতালে নেওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত আমাদের এই রাস্তা সংস্কার ও পাকাকরন করে দিতে হবে বলে জানান।
Leave a Reply